লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের প্রতিভা নিয়ে কখনোই কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ঘাটতিটা চিরদিনই চোখে পড়েছে। পঞ্চপান্ডবদের সকলকে এখন আর একসাথে পাওয়া যায় না। কালেভদ্রে দেখা মিলে তিনজনের! সময় এসেছে নতুনদের দায়িত্ব নেওয়ার। কিন্তু, কতোটুকু প্রস্তুত তারা? আদৌ কি তাদের পক্ষে দারুণ কিছু করা সম্ভব? তারা কি পারবে দেশকে সাকিব-তামিমদের মতো করে এগিয়ে নিতে?
বেশীরভাগ মানুষেরই এতে দ্বিমত থাকলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বেশ আশাবাদী। ‘প্রথম আলোকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, “নতুনরা ভালো সম্ভাবনা দেখাবে, সে জন্য ধৈর্য ধরতে হবে তো। দেখানোর জন্য সময় লাগে। এক ম্যাচ খেলেই কেউ লক্ষণ দেখিয়ে দেবে—এটা কীভাবে আশা করেন?”
উদাহরণ হিসেবে সাকিব সাক্ষাৎকারে টেনে এনেছেন সাবেক লঙ্কান তারকা ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তুকে, “মারভান আতাপাত্তু বোধ হয় তার ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ টেস্টেই (প্রথম ৬ ইনিংসের মধ্যে ৫টিতে) শূন্য করেছিল…এ রকম কিছু একটা। তারপরও একটা পর্যায়ে তারই কিন্তু সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি ছিল। এখন আমি যদি প্রশ্ন করি, ধরুন, বাংলাদেশে একটা ক্রিকেটার নতুন এসে পাঁচ ম্যাচে পাঁচটা ‘ডাক’ মারল, ও জীবনে আর কোনো দিন দলে সুযোগ পাবে? আমি বলি, এত অধৈর্য হবেন না। সময় দিন, ওরাও ভালো করবে।”
সাকিব মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুবর্ণ সময় এখনও আসেইনি। আর সেই সময়টা আসবে তরুণ ক্রিকেটারদের হাত দিয়েই, এমনটাই বিশ্বাস বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।