বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পায়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দলকে ২২৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে এইডেন মার্করাম-রিজা হেনড্রিকসরা।
সাউথ আফ্রিকার দেওয়া ৪০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ১৭০ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। লুঙ্গি এনগিডি-জেরাল্ড কোয়েটজেদের বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে জনি বেয়ারস্টো-জো রুটরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের হারের রেকর্ড থেকে ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়েছে মার্ক উড-গাস অ্যাটকিনসন। দুজনে মিলে শেষ উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে যোগ করেন ৭০ রান। অ্যাটকিনসনের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন উড।
সাউথ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন জেরাল্ড কোয়েটজে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি এনগিডি ও মার্কো ইয়ানসেন। একটি করে শিকার করেছেন কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ।
এর আগে হেনরিখ ক্লাসেনের সেঞ্চুরি ও রিজা হেনড্রিকস, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও মার্কো ইয়ানসেনের ফিফটিতে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে সাউথ আফ্রিকা।

অথচ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারিয়েছিল সাউথ আফ্রিকা। রিস টপলির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে জস বাটলারকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর রিজা হেনড্রিকস ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সাউথ আফ্রিকা। দুজনে শুরুতে ইংল্যান্ডের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন।
সময় যত গড়িয়েছে নিজেদের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করেছেন হেনরিকস-ডুসেন। তাদের জুটি থেকে আসে ১১৬ বলে ১২১ রান। দুজনে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। হেনড্রিকস করেছেন ৭৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রান। ডুসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান।
উইকেটে আসার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক ৪৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করে ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্লাসেন। ৬১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের দেখা পেয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১০৯ রান করে থামেন তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন মার্কো ইয়ানসেনও। ৪২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।