বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন ভারত। তার আগে যেন ঝড় উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। বুধবার টাইগাররা দেশ ছাড়ার পর, ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে না থাকার কারণ জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। এরপর দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তামিম ইস্যু ও তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন নাফীস ইকবালের দল ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেন, “যদি সে আসলে খেলার মাঝখান থেকে চলে যায়, খুবই আনপ্রফেশনাল। উনার দিক থেকেও, বিসিবির দিক থেকেও। আমি এটা চিন্তা করতেই পারিনা যে, একটা ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ চলছে আর মাঝখান থেকে একজন চলে গেল। এটা কিভাবে হয় আমার কোনো আইডিয়া নেই। যদি এটা আসলে হয়, তবে বিসিবি যে একটা ভুল ডিসিশন (নাফিসকে টিম ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া) নিয়েছিল তার একটা প্রমাণ এটা”
সাকিবের এমন মন্তব্যের পর চুপ থাকেননি নাফিসও। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অবস্থান ব্যাখা করেন। তিনি লেখেন, “আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে”

এরপর তিনি আরও লেখেন, “আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়”
নাফিস সেদিন বোর্ডের কোন প্রটোকল কিংবা আচরণবিধি ভাঙ্গেননি বলেও মনে করেন। তিনি লেখেন, “আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে আসার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমার মতামত জানিয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত করেছি যে, আমি প্লেয়ার লিস্টে নিয়মমাফিক স্বাক্ষর করেছিলাম এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের কাগজপত্র অ্যাকাউন্টস বিভাগে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনো কাজ অর্ধেক করা হয়নি”
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন, ঘটনাগুলো না জেনে কারও মতামত দেওয়া ঠিক হতে পারেনা। তিনি লেখেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিস্থিতিগুলো কিছু সম্মানের যোগ্য এবং কেউ ঘটনাগুলো সম্পর্কে না জেনে তার মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল পরিচালনার অংশ হিসেবে আমি আমার সেরা আউটপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব”