ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী দিনের বিকেলের খেলায় জয় পেয়েছে সাকিবের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে এক বল হাতে রেখে শাইনপুকুরকে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে তামিমের ৪৬ রানের ক্যামিওতে ৭ উইকেটের বড় জয় প্রাইম ব্যাংকের। মিরপুরে ২২ রানের জয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের।
বিকেএসপিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করতে সময় নেননি বোলাররা, আটোঁসাটো বোলিং করে চাপে রাখেন শাইনপুকুর ব্যাটসম্যানদের। সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে শাইনপুকুরের সংগ্রহ ১২৫। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব এবং ইয়াসিন আরাফাত।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অভিষেক মিত্রের উইকেট হারানো মোহামেডানের হাল ধরেন তরুণ পারভেজ ইমন এবং অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভ। রান আউট হয়ে ইমন ফিরলে, দলকে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি নিয়ে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার । জয় যখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, সেখানেই মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কা জাগে সাকিবদের মনে। শেষ ওভারে ৬ রানের সমীকরণ মিলিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন ইয়াসিন-রনিরা, বল বাকি মাত্র একটা। ইমন ৩৯ ও সাকিব করেন ২৯ রান। শাইনপুকুরের হয়ে সুমন খান নেন ২ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুন্যে ম্যাচসেরা সাকিব।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে তামিম-রিয়াদের লড়াইয়ে জয়ী তামিম। প্রাইম ব্যাংকের তামিমের ব্যাটিং ঝড়ে একপ্রকার উড়ে গিয়েছে গাজী গ্রুপ। তামিমের ৪৬ রানের ক্যামিও প্রাইম ব্যাংককে এনে দিয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়। বৃষ্টির বাঁধায় খেলা গড়ায় কার্টেল ওভারে। প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। নির্ধারিত ১২ ওভারে গাজী গ্রুপের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯১ রান। সর্বোচ্চ ২৬ আসে জাকির হাসানের ব্যাট থেকে, মুস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে ২১ রানে নেন ২ উইকেট। ৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম দেখিয়েছেন শুধুই ছক্কার ঝড়। ২ চার আর ৫ ছক্কায় তামিম ২২ বলে করেছেন ৪৬। ১৬ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তামিম।
মিরপুরে জিতেছে আশরাফুলের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। খেলাঘরের বিপক্ষে তাদের জয় ২২ রানে। টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেন সিদ্ধান্তের স্বার্থকতা। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬৬। সর্বোচ্চ ৩৮ করে আসে সৈকত আলী এবং মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। শেষদিকে এনামুল হক জুনিয়রের ৫ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। জবাবে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি। কখনোই মনে হয়নি এই ম্যাচ জিততে পারে তারা। শেষদিকে মাসুম খানের ১২ বলে ২২ রানের ঝড় ব্যবধান কমিয়েছে শুধু। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ইলিয়াস সানি।