মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় ছিল বৃষ্টির হানা। বৃষ্টি শেষে খেলা গড়িয়েছে মাঠে। বৃষ্টির সঙ্গে লড়াইয়ে জিতেছে ক্রিকেট, ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আবাহনী । ডি এল মেথডে আবাহনীর জয় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারনে ২০ ওভারের জায়গায় ম্যাচ নেমে আসে ১১ ওভারে। নির্ধারিত ১১ ওভারে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০১, জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌছে যায় আকাশি-হলুদরা।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমানিত করেন আবাহনী বোলাররা। ব্রাদার্স শিবিরে প্রথম আঘাত অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের। সাড়ে চার ওভারে ৩৮ রানে ১ম উইকেট হারানোর পর ৫ম উইকেট যখন হারায় অষ্টম ওভারে ব্রাদার্স ইউনিয়নের স্কোর বোর্ডে রান তখন ৫১। একাই তিন উইকেট শিকার করেন সাকিব। ২ ওভারে তার খরচ মাত্র ৯ রান। আরাফাত সানির শিকার ৫ রানে ২ উইকেট।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন যখন সল্পরানে ইনিংস গোটানোর শঙ্কায়, তখনই ত্রাতা হিসেবে হাজির আলাউদ্দিন বাবু এবং জাহিদুজ্জামান সাগর। আগের ম্যাচে হ্যাট্রিকের দেখা পাওয়া আলাউদ্দিন বাবু এ ম্যাচে দেখালেন তার ব্যাটিংশৈলী। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জাহিদুজ্জামান। ১০ বলে ৩ ছক্কায় বাবুর সংগ্রহ ২৪, সমান ১০ বলে জাহিদুজ্জামানের উইলো থেকে আসে ২৫। শেষ তিন ওভারে তাদের ৫১ রানে জয়ের মতো সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার এবং নাইম শেখ, বিশেষ করে মুনিম। ব্যাক্তিগত ২৫ রানে ফিরে গেলেও কাজের কাজটা ততক্ষনে করে গেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১২ বইলে ২৫ করে আউট হওয়ার সময় আবাহনীর রান সাড়ে তিন ওভারে ৩৮। মুনিম ফিরে গেলেও অবিচল ছিলেন নাইম।
নাইমের সঙ্গে যুক্ত হন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে এসে মুশফিক ছিলেন বরাবরের মতোই সাবলিল। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। নাইম অপরাজিত ছিলেন ৩৬ রানে। এ নিয়ে তিন ম্যাচে তিন জয়ে শীর্ষে আবাহনী।