১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সাকিব পারেননি, মুশফিক-লিটন পারছেন; তৃতীয় দিন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

- Advertisement -

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। নিজেদের ইনিংসে তাই দারুণ কিছুই করতে হতো বাংলাদেশকে। তৃতীয়দিন শেষে সফরকারীদের সেই লক্ষ্যে সফল বলাই যায়। তৃতীয়দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ৫৫ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাশের সংগ্রহ অপরাজিত ৫২ রান। তৃতীয়দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১৩২ রানে।

অথচ তৃতীয়দিনের শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি। নাসিম শাহর বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ৫৮ বলে জাকির হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪২ বলে ১৬ রান করে খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।

চার নম্বরে আসা মুমিনুল হককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সাদমান ইসলাম। দুজনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। শাহিন শাহ আফ্রিদি-সালমান আলী আগাদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারি মেরেছেন তারা। রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন দুই টাইগার ব্যাটার। টেস্টে ১৯তম ফিফটি পূর্ণ করার পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুমিনুল। শান্তর মতোই শেহজাদের ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন সাদমান ইসলাম

মুমিনুল ফিরলেও সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন সাদমান। তবে দুই বছর পর টেস্টে ফেরা বাঁহাতি এ ওপেনার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরত্বে থেমেছেন। মোহাম্মদ আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮২ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পার্টটাইমার সাইম আইয়ুবকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ১৬ বলে করেছেন ১৫ রান।

সাকিব ফেরার পর উইকেটে এসেই সাবলীল ব্যাট করেন লিটন। পাকিস্তানি বোলারদের খারাপ বল পেলেই সীমানা ছাড়া করেছেন তিনি। ৫৩ বলেই ফিফটি পূর্ণ করেন উইকেট কিপার এ ব্যাটার। এলকেডির আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিক।

শেষ বেলায় মুশফিকের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। সেটিও স্বাগতিকদের বিপক্ষেই গেছে। তৃতীয়দিন শেষে স্বস্তিতেই আছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেছেন খুররম শেহজাদ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলী ও সাইম আইয়ুব।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img