বাংলাদেশের রান তোলার গতি নিয়ে ছিল প্রশ্ন, তবুও স্কোরবোর্ডে পাঁচশোর বেশি রান দেখাচ্ছিল আশা। তবে তৃতীয় দিনে শুরু করা লঙ্কানদের ইনিংস এগিয়েছে স্বাভাবিক গতিতেই, তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২২৯ রান। চতুর্থ দিনে করুনারত্নে আর ধঞ্জয়া ডি সিলভা ছিল আরও অসাধারণ। বোলারদের কোনো সুযোগ দেননি, চা বিরতি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ৪৪২ রান।
লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত লংকানদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩৩১ রান। প্রথম সেশনের ব্যর্থতা দ্বিতীয় সেশনেও বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। দলে ৩ পেসার অথচ ইনিংসের বেশিরভাগ ওভারই করেছেন স্পিনাররা। দল নির্বাচন নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
লঙ্কানদের হয়ে ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছড়ানো করুনারত্নে অপরাজিত আছেন ১৮৪ রানে, সাথে ১৩৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন ধঞ্জয়া। দুজনের জুটি ছুঁয়েছে আড়াইশর গন্ডি।
পাল্লেকেলে টেস্ট যে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছে সেটা বলে দেয়াই যায়। প্রথমত ব্যাটিং উইকেট, তারপর ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা কিংবা বোলারদের ব্যর্থতা, নিষ্প্রাণ টেস্টের সাক্ষীই হয়তো হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা।