প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজ হারানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ৬ উইকেটে কিউইদের রান ৯০। ১৭ রান করে ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসে দারুণ ইনিংস খেলা গ্লেন ফিলিপস। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া মিরাজ এই ইনিংসেও নিয়ে ফেলেছেন তিন উইকেট।
লাঞ্চের আগে নিউজিল্যান্ড খেলেছিল ৩ ওভার, যার দুটোই করেছিলেন শরীফুল ইসলাম। শরীফুলের একেকটা বল ডেভন কনওয়ে খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল বল না; কিউই ওপেনারের দিকে ধেয়ে আসছে একেকটা গোলা। একটা বল আউটসুইং তো, পরের বলটাই আচমকা ঢুকছে ভিতরে। দুইটা বল তো এমনও হয়েছে; কমেন্টেটররা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, বলগুলো কিভাবে স্টাম্প মিস করল! ডেভন কনওয়েকে একদম নাড়িয়ে দেওয়া শরীফুল শান্তি দিলেন লাঞ্চের পরে নিজের প্রথম ওভারে, ভেতরে আসা দারুণ এক ডেলভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।
ক্রিজ ব্যবহার করে কখনো ফ্রন্টফুটে এসে, কখনো আবার ব্যাকফুটে সরে গিয়ে বেশ ভালোভাবেই মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলামদের স্পিন সামলাচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। দারুণ দুটো চার মেরেছিলেন, স্ট্রাইক রোটেটও করছিলেন বেশ ভালোভাবে, ধৈর্য্য ধরে ডিফেন্ডও করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলেন না, তাইজুলের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরতে হলো।
সিরিজজুড়েই হেনরি নিকলস এবং টম ল্যাথাম ফর্মে নেই, এই দুজনকেই ফিরিয়েছেন মিরাজ। নিকলস আউট হয়েছেন ৩ রানে, ভালো খেলতে থাকা ল্যাথাম আউট হয়েছেন ২৬ করে। ছয়ে নামা টম ব্ল্যান্ডেল প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ, নুরুল হাসান সোহানের ভালো একটা ক্যাচে ফিরে যাওয়ার আগে করেছেন মাত্র ২ রান। তাঁকে ফিরিয়েছেন তাইজুল।
বিশ্লেষকরা বলেন, স্লো উইকেট সুইপ কিংবা রিভার্স সুইপ খেলা আদর্শ। ড্যারেল মিচেল সেটাই করেছেন। কখনো সুইপ, কখনো পুল কিংবা কাটের মতো সাইড শট খেলেছেন; আর বাকি সময় খেলেছেন রিভার্স সুইপ। অফসাইডে অনেকটা জায়গা জুড়েই কোনো ফিল্ডার ছিল না, বিশেষ করে পয়েন্ট অঞ্চলে; সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন মিচেল।
সেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়েই আউট হয়েছেন মিচেল। তবে বোলার মিরাজের যতখানি কৃতিত্ব, স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর। মিচেলকে রিভার্স সুইপ খেলতে দেখে আগেভাগেই ডানদিকে সরে যান শান্ত, পরে সামনের দিকে ঝুঁকে নেন দারুণ এক ক্যাচ। যদিও আম্পায়ার শুরুতে আউটের সিদ্ধান্ত দেননি, রিভিউ নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে আনেন টাইগার ক্যাপ্টেন। নিউজিল্যান্ড তখন ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দল।