কারো আত্ববিশ্বাস সাগরের মতো বিশাল,কেউ আবার গভীর জলে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। নিউজিল্যান্ড ঘুরে শ্রীলঙ্কা, মাঠে আগ্রাসী চেহারা, পারফর্ম্যান্স আশা জাগানিয়া, চারপাশে প্রশংসা। নিশ্চিত করেই বলা যায়, ওয়ানডে সিরিজের জন্যে বেশ চাঙ্গা ঢাকা এক্সপ্রেস। তাসকিন ফুল রিদমে। ঠিক উলটো, মিরপুরের নেটে তার বল ফেস করা লিটন দাশ। শেষ ছয় ওয়ানডে’তে সর্বোচ্চ বাইশ রান।
চকচকে সাদা বলে এলকেডি চাপে, ওপেনার লিটনের মতোই প্রমানের বড় সুযোগ,হয়তো শেষ সুযোগ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো’র। চাকরি থাকছে নাকি সাবেকের খাতায় নাম উঠছে? ওসব মাথায় নাই সাউথ আফ্রিকানের, সিরিজ জেতায় মনোযোগি। ম্যাচ পূর্ব ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে পরিকল্পনা জানিয়েছেন প্রধান ওস্তাদ।
( এই সিরিজে জয়টা অবশ্যই গুরূত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ সুপার লিগের জন্য পয়েন্ট বাড়িয়ে সেফ সাইডে থাকতে চাই। পাশাপাশি আগামী বিশ্বকাপ নিয়েও ভাবার সময় হয়েছে, সঠিক টিম কম্বিনেশনের পাশাপাশি বড়দের সাথে উঠতিদেরও তৈরী করতে হবে। এমনও হতে পারে, দুই হাজার তেইশে সাকিব,তামিম,মুশফিক,রিয়াদের মধ্যে যে কেউ অ্যাভেইলেভল নাও থাকতে পারে, তাই রিপ্লেসমেন্ট রেডি রাখা জরুরী)।
দলীয় অধিনায়ক, ওপেনিং ব্যাটসম্যান, ঘূর্নিঝড় যশ আসার আগে তামিমের ব্যাটে ঝড়টা দেখতেই চাইবে টিম বাংলাদেশ। গোড়াতেই ক্যাপ্টেইনের দায়িত্বশীল ইনিংস, বাড়তি সাহস দেবে বাকি ব্যাটারদের। ঠিক তেমনি বন্ধু সাকিবের ফেরাও গোটা স্কোয়াডকে চাঙ্গা করছে। শান্ত-সৌম্যকে দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ, সাকিব ফিরছেন প্রিয় নাম্বার থ্রিতে,স্পটলাইটটা তার উপরই রবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে বোলার সাকিব অনন্য, নিষেধাজ্ঞার পর ব্যাট হাতে এখনো বড় কোনো ইনিংস নেই।
ক্রিকেট মস্তিস্ক অসাধারণ,সাকিবের সামর্থ্য নিয়ে রাসেল ডমিঙ্গোর কোনো শংকা নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফিল্ডিং এই সিরিজের আগে ভয়ে রাখতেই পারে টিম বাংলাদেশকে। তার মাঝেই ছুটিতে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। মিরপুরের আকাশে কি আগের মতোই ক্যাচ মিসের মহড়া চলবে!
(কোনো দলে ভালো ফিল্ডার থাকে, কোথাও আবার অ্যাভারেজ। সঠিক জায়গায় সঠিক ফিল্ডার রাখতে হবে আমাদের। স্কিলে ঘাটতি নেই, মাঠে ক্যাচ ধরা আর গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে আত্ববিশ্বাসী হতে হবে। দূর্বল ফিল্ডিং ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। আশাকরবো, এই জায়গায় আমরা ভুল করবো না। )
বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ তিন ম্যাচের সিরিজ। সেরা আটে থেকেই ২০২৩ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে চায় টিম বাংলাদেশ। ঐ লক্ষ্যে ঘরের মাঠের ওডিআই গুলো থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট কেড়ে নেয়াই লক্ষ্য। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তিন জয় তিন হারে,৩০ পয়েন্টে টেবিলের ছয়ে আছে বাংলাদেশ।
https://www.icc-cricket.com/cricket-world-cup-super-league/standings
ঐ হিসেবে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বেশ চাপে। তিন হারে, মাইনাস টু পয়েন্ট, শংকা থেকেই যায়, সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কি বাছাই খেলতে হবে? তারূন্যনির্ভর স্কোয়াড, ক্যাপ্টেইন্সিতে কুশল পেরেরার অভিষেক। স্পিন শক্তি বেশ, ব্যাটিংয়ে ফিয়ারলেস ক্রিকেট খেলে টাইগারদের পিছু হটাতে চায় লঙ্কান লায়নরা। মিরপুরে জম্পেশ একটা সিরিজের অপেক্ষা, যদিও ঘুর্ণিঝড় যশের চোখরাঙ্গানী পানি ঢেলে দিতে পারে সব প্রত্যাশায়। রোববার দুপুর একটায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটা।