১৩ বছর পর পাকিস্তান খেলতে গিয়ে অনেক কিছুই যেন অচেনা প্রোটিয়াদের কাছে। তাদের পারফরম্যান্সেও সেই অচেনা ছাপ। প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং এমন কথাই বলছে। করাচী টেস্টের দুই ইনিংসে একটিতেও আড়াইশো করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংস ২২০ আর দ্বিতীয় ইনিংস তারা করে ২৪৫। ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে। এখন তাদের সামনে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় টেস্টে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তান প্রথম টেস্টে দাপুটে জয় পেয়েছে। ব্যাটিংয়ে আজহার আলী-ফাওয়াদ আলমরা আর নোমান আলী-ইয়াসির শাহদের চমৎকার বোলিং, পাকিস্তানকে সিরিজে এগিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টের আগেও নিশ্চিত ফেভারিট বলা যায় স্বাগতিকদের। তবে প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ে আছে পাকিস্তানের কিছুটা দুশ্চিন্তা। তার মধ্যে কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে আতংকিত হওয়াটাও স্বাভাবিক। করাচী টেস্টে এই পেসার সবচেয়ে কমবয়সী পেস বোলার হিসেবে ২০০ উইকেট নেয়ার ল্যান্ডমার্কে পোঁছেছেন। দ্বিতীয় টেস্টেও পাকিস্তানের জন্য ফ্যাক্টর হতে পারেন রাবাদা।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেটের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে টস জিতাটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যে দল টস জিতবে, বোলিং নেয়াই হবে তাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। ম্যাচ শুরুর প্রথম সেশনটা বোলাররা বেশ ফায়দা পান এই উইকেট থেকে। তাই এই ম্যাচে টস ভাগ্যটাও ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। দু’দলের একাদশে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন আভাসই মিলেছে ম্যাচের আগে।