রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দারুণ জয় দিয়ে বিপিএলের দশম আসরটা শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। সেই ম্যাচে অধিনায়ক তামিম ইকবালও খেলেছিলেন দুর্দান্ত। পরের তিন ম্যাচে হাসেনি তামিমের ব্যাট, জয়ের কাছাকাছি গিয়েও জিততে পারেনি বরিশাল। মঙ্গলবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ২ রানে ফিরেছে বাঁহাতি ওপেনার, তারপরও আহমেদ শেহজাদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের দারুণ পারফর্ম্যান্সে ৪৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বরিশাল।
টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। লক্ষ্যটা পরিষ্কার, বরিশালকে যতটা সম্ভব কম রানে আটকে দিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় তুলে নেওয়া। শুরুতে তামিমকে ফিরিয়ে নাঈম হাসান সিলেটকে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তবে বরিশালের আরেক ওপেনার শেহজাদ খেলেছেন দারুণ। ৩০ বলে টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। চতুর্থ উইকেট হিসেবে বেনি হওয়েলের বলে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২২ রান। সৌম্য করেছেন ১৭ বলে ২০ রান।
বরিশাল মূলত ১৮৬ রান করতে পেরেছে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ২৪ বলে ৫১ রানের কল্যাণে। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেছেন ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ক্যামিও।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বেনি হাওয়েল।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত দুই বাউন্ডারি মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। মোহাম্মদ মিঠুনের বদলে চলমান বিপিএলে প্রথম সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
সিলেটকে ম্যাচে রেখেছিলেন বেনি হাওয়েল ও জাকির হাসান। গত দুই ম্যাচে ৩১ ও ৪১ রানের ইনিংস খেলা জাকির এদিন করেছেন ৪৬ রান। বেনি হাওয়েলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২৪ রান। শেষের দিকে ব্যাটাররা সমীকরণ মেলাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সিলেট অলআউট হয় ১৩৭ রানে।
বরিশালের হয়ে ৩.৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ইমরান।