পঞ্চম এবং শেষ ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ওভারে ১৫৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগার যুবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে, ইফতিখার হোসেন করেছেন ২৬ রান। আফগান পেসার বিলাল সামি এবং স্পিনার নাঙ্গেলিয়া খারোতে নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
সিরিজে জয় এসেছে আগেই; হোয়াইওয়াশের লক্ষ্যটা পূরণ হয়নি মানকাড বিতর্কে। চার ম্যাচ শেষে সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা টাইগার যুবারা পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নামলেন জয়ের লক্ষ্যেই। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে দুর্দান্ত সূচনাও এনে দেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম এবং ইফতিখার হোসেন। দুজনে মিলে প্রথম উইকেটে গড়েন ৪৮ রানের জুঁটি; ৩ চার এবং ১ ছয়ে ইফতির ব্যাট থেকে ততোক্ষণে এসেছে ২৪ রান, মাহফিজুলের ব্যাট থেকে ১১।
এরপরেই ছন্দপতন; ৮ রানের মধ্যেই নেই চারটি উইকেট, ৩টিই নিয়েছেন আফগান পেসার বিলাল সামি। একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন মাহফিজুল, আরিফুল ইসলাম, ইফতিখার আর আইচ মোল্লাহ। এরপর তাহজিবুল ইসলামের সাথে অধিনায়ক মেহরাব হোসেনের বিপর্যয় কাঁটিয়ে ওঠার চেষ্টাটা চোখে পড়লেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেনি দুজনের কেউই। ব্যক্তিগত ৮ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন অধিনায়ক, উইকেটকিপার তাহজিবুলের সংগ্রহ ১৫। দুজনেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন আফগান লেগস্পিনার ইজহারুল নাভিদ।
গোলাম কিবরিয়াকে নিয়ে সম্মানজনক স্কোর গড়ার লক্ষ্যে ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২৫ রানও এসেছে দুজনের ব্যাট থেকে; কিন্তু আফগান বাঁহাতি স্পিনার শহীদুল্লাহ হাসানির বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কিবরিয়া। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন মামুন; ব্যক্তিগত ৩৬ রানে যখন তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ততোক্ষণে নাইমুর রহমান নয়নকে নিয়ে গড়েছেন ৪৭ রানের জুঁটি। নয়নের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান। শেষ অব্দি টাইগারদের প্রথম ইনিংস গিয়ে থামে ১৫৫ রানে।