বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলতে হলে সমীকরণটা ছিল এমন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৮.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে ম্যাচ। পাকিস্তানকে ১৫৫ রানে অলআউট করে দিয়ে বোলাররা দারুণ মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেমিফাইনালে খেলা হলো না বাংলাদেশের। ১৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। আর তাতেই সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়েছে জুনিয়র টাইগারদের।
টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। জুনিয়র টাইগারদের লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার, যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানকে অলআউট করে দিয়ে রানরেট ঠিক রেখে জয় তুলে নেওয়া। রোহানতউদ্দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবনের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে শুরু থেকে পাকিস্তানি ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন বর্ষণ।
পাকিস্তান মূলত ১৫৫ রানের সংগ্রহ পায় ছোট ছোট কিন্তু কার্যকরী কয়েকটি ইনিংসের উপর ভর করে। দুই ওপেনার শামিল হোসাইন ও শাহজাইব খান বাংলাদেশি পেসারদের সামনে ভুগলেও যথাক্রমে ১৯ ও ২৬ রান করেছেন।
মাঝের দিকে এসে দারুণ ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন আরাফাত মিনহাজ ও আলি আসফান্দ। আরাফাত করেছেন ৩৪ রান আর আসফান্দের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পাকিস্তানি বোলারদের উপর চড়াও হন জিসান আহমেদ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জিসান। আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি তেমন কিছুই করতে পারেননি। ১১ বলে করেছেন মাত্র ৪ রান।
চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আরিফুল ইসলাম, আহরার আমিন ও শিহাব জেমস সবাই শুরুটা ভালো করেছিলেন কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। তবে নবম উইকেট জুটিতে ২৩ রান তুলে মারুফ মৃধা ও বর্ষণ বাংলাদেকে ম্যাচে রেখেছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ জিসানের বলে মারুফ বোল্ড হলে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন উবাইদ শাহ। ৩টি উইকেট নিয়েছেন আলী রাজা।