২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। এরপর থেকে ওয়ানডেতে তিন অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। অপেক্ষাটা ছিল পাঁচ বছরের। অবশেষে ফুরিয়েছে সেই অপেক্ষা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সৌম্য। তাতেই কিউইদের ২৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন-সৌম্য। তবে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ইনিংসের শুরু থেকে ভুগছিলেন। অ্যাডাম মিলনের বলে থার্ড স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তার আগে করেছেন ১২ বলে ২ রান। বিজয়কে অনুসরণ করেছেন শান্তও। টাইগার অধিনায়ক জ্যাকব ডাফির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৯ বলে এক বাউন্ডারিতে ৬ রান।
এরপর টাইগার সমর্থকদের হতাশা বাড়িয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন কুমার দাশও। এরপর উইকেটে এসে সৌম্যকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
এরপরই মুশফিককে সাথে নিয়ে জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দেন সৌম্য। কিউই বোলারদের দারুণভাবে সামাল দিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন তারা। ৫৮ বলে ফিফটির দেখা পান সৌম্য। অর্ধ শতক করার পর বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েছেন তিনি। সেটা কাজে লাগাতে ভূল করেননি টাইগার ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ১১৬ বলে সেঞ্চুরি করা সৌম্য দেড়শো করেন ১৪৪ বলে অর্থাৎ পরের ৫০ করতে টাইগার ওপেনার খেলেছেন ২৮ বল। শেষ ওভারে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ১৫১ বলে ১৬৯ রান। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
তবে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। ডাফির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ৫৭ বলে ৪৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যাকব ডাফি ও উইলিয়াম ওরর্কি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে, জশ ক্লার্কসন ও আদি অশোক।