ছিয়ানব্বইয়ের বিশ্বকাপ, শ্রীলঙ্কা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেট বিশ্বের কাছে ডি-সিলভা, রানাতুঙ্গা আর জয়সুরিয়াদের ওই দলটা ছিল বিস্ময়। তারপর শুধুই এগিয়ে চলা। সেরাদের সেরা হওয়ার গল্প। কতো অর্জন, কতো সাফল্য। দুই হাজার সাত, দুই হাজার এগোরো পর পর দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল, দুই হাজার চৌদ্দ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন; যেন কোনো জীবন্ত রুপকথা।
সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধানে, দিলশানরা যতদিন ছিলেন, ঠিক পথেই ছিল লঙ্কান ক্রিকেট। প্রাপ্তির মোহে তাদের না থাকার ভাবনাই হয়তো আসেনি লঙ্কান ম্যানেজম্যান্টের। অন্যদের ব্যার্থতাও আড়াল ছিলেন ক্রিকেট মাঠের তারকাদের অর্জনে। তবে তাদের অবসরের পর থেকেই শুরু ধাক্কা। যা এখনও সামলে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাইপলাইনে যথেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার না থাকলে যা হয় সেটা এখন হচ্ছে শ্রীলঙ্কান সঙ্গে।
লঙ্কানরা এখন ইংল্যান্ডে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলছেন ইংলিশদের বিপক্ষে। আছে বিশ্বকাপ সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচ। তাদের অবস্থা কতোটা নাজুক সেটা বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালেই হওয়া যায় স্পষ্ট। তেরো দলের মধ্যে লংকানদের অবস্থান তেরো নম্বরে।
জীবন এমনি, যেখানে যেমন উত্থান আছে তেমন পতন। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট হয়তো আছে সেই পথেই। নিজেদের কাঠামো ঠিকঠাক করতে না পারার এই ব্যর্থতার যার পেছেনের কারণ। বটবৃক্ষের ছায়া থেকে বেরুতে না পারা, পরে সেই বটবৃক্ষের শুণ্যতা পূরণ করতে না পারা। এইতো বাস্তবতা।
দ্বীপ দেশটার ক্রিকেটের এই কঠিন সময় দেখে কতটুকু শিক্ষা নিতে পারছে বাংলাদেশ? মুশফিক, সাকিব, তামিম পরবর্তী বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাল ধরার মতো কোনো ক্রিকেটার কি টাইগার শিবিরে আছে? প্রতিভা হয়তো আছে কিন্তু সেটা কাজে দায়িত্বতো বিসিবি। তারা কতোটা সচেতন? প্রশ্নের উওর জানা বেশ প্রয়োজন। নয়তো বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের পর সাঙ্গারকারা ওই হাসির মতোই মলিনতার মাঝে হারাবে দেশের ক্রিকেট।