সামনে ছিল অসম্ভব সমীকরণ। টস জিতে জশ বাটলার আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর পাকিস্তানের সেই স্বপ্নও একরকম শেষ। তবে শেষমেশ আর আফসোসের জায়গাও থাকলো না। ইংল্যান্ডের কাছে ৯৩ রানে হেরেছে বাবর আজমের দল। ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে ৫ নম্বরে থেকে আসর শেষ করল পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে নিয়ে কোনোরকম সমীকরণ না থাকলেও ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারলেই ফসকে যেতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট। সেটা আর হলো না। দেশে ফেরার আগে আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিটই প্রাপ্তি।
৩৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ১০ রানেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের কেউই অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। পাকিস্তান ইনিংসের একমাত্র ফিফটি এসেছে আঘা সালমানের ব্যাট থেকে; করেছেন ৪৫ বলে ৫১ রান। শেষদিকে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হারিস রউফের ৩৫ বলে ৫৩ রানের শেষ জুটি পরাজয়ের ব্যবধানই কেবল কমিয়েছে। ২৩ বলে ৩ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন রউফ। ১৪ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়াসিম।
এর আগে বেন স্টোকসের ৭৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংসের সাথে রুট আর বেয়ারস্টোর ফিফটিতে ৩৩৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩৩৭/৯ (৫০ ওভার) (স্টোকস ৮৪, রুট ৬০, বেয়ারস্টো ৫৯; রউফ ১০-০-৬৪-৩, আফ্রিদি ১০-১-৭২-২, ওয়াসিম ১০-০-৭৪-২)
পাকিস্তান: ২৪৪ (৪৩.৩ ওভার) (সালমান ৫১, বাবর ৩৮, রিজওয়ান ৩৬; উইলি ১০-০-৫৬-৩, অ্যাটকিনসন ৮-০-৪৫-২, রশিদ ১০-০-৫৫-২)
ফল: ইংল্যান্ড ৯৩ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ডেভিড উইলি (৫ বলে ১৫ রান এবং ৫৬ রানে ৩ উইকেট)