আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা ছয় ম্যাচে হারের পর, অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সাথে জয়। সব মিলিয়ে টাইগার সমর্থকরা আশা করেছিলেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করবে নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন কুমার দাশরা। তবে ঘটেছে তার উল্টো, প্যাট কামিন্সের দলের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে বাংলাদেশ।
তানজিদ হাসান তামিম-তাওহীদ হৃদয়দের দেওয়া ৩০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১২ রানের মধ্যে ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তিনে উইকেটে আসার পর নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসান মিরাজদের উপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন মিচেল মার্শ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ।
প্রথমে ওয়ার্নারের সাথে ১১৬ বলে গড়েছেন ১২০ রানের জুটি। অজি ওপেনার ফিরেছেন ফিফটি করার পরেই। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে শান্তকে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৬১ বলে ৫৩ রান। এরপর উইকেটে এসে দারুণ ব্যাটিং করেছেন স্মিথ। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন তিনি। মার্শের সাথে তার ১৩৫ বলে ১৭৫ রানের জুটিতে ৫.২ ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৬৩ রান করে, মার্শ খেলেছেন ১৩২ বলে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে হৃদয়-শান্তর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। ৫৭ বলে ৪৫ রান করেছেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম ৭ ব্যাটারই পেয়েছেন দুই অঙ্কের ঘরে রানের দেখা। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ।
তিন ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রান আউটে কাটা পড়ে থামে তার ইনিংস। তার আগে করেছেন ২৮ বলে ৩২ রান। সমান ৩৬ করে রান করেছেন তামিম-লিটন। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২৯ রান।