উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে আর বি লাইপজিগকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের হয়ে আর্লিং হালান্ড একাই করেছেন পাঁচ গোল। ম্যাচের বাকি দুই গোলদাতা হলেন ইকেই গুন্দোয়ান এবং কেভিন ডি ব্রুইনা।
প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ আট নিশ্চিত করলো পেপ গার্দিওলার দল।
শুরু থেকেই জার্মান দলটির বিপক্ষে প্রতিপক্ষ বিস্তার করে খেলতে থাকে ম্যানসিটি। ম্যাচের একাদশ মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগ পায় তারা, নাথান আকের বাড়ানো বলে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়া হালান্ডের শট ফিরিয়ে দেন লাইপজিগের গোলরক্ষক।
ম্যাচের ২২ থেকে ২৪ মিনিটের মধ্যকার সময়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেন হালান্ড, এইটুকু সময়েই করেন দুই গোল। ২২ মিনিটে হওয়া গোলটি আসে স্পটকিক থেকে এবং ২৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনার নেয়া বুলেট শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বল হেড দিয়ে জালে পাঠান হালান্ড।
এই শেষ নয়, প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন হালান্ড। ডি ব্রুইনারের নেয়া এক কর্নারে লাইপজিগের এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে গেলে তা হলান্ডের পায়ে লেগে গোল পোস্টে ঢুকে পড়ে। যার ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড করে হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে সিটির এক হালি পূর্ণ করেন ইকেই গুন্দোয়ান, ১৬ গজ দূর থেকে নেয়া একটি শটে গোল করেন তিনি। এর চার মিনিট পর ম্যাচের ৫৩ থেকে ৫৭ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোলের দেখা পান হালান্ড। তবে এই দুই গোলেই মানুয়েল আকনজির করা শট লাইপজিগ গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করেন হালান্ড।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে হালান্ডের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো আর্জেন্টাইন উইঙ্গার হুলিয়ান আলভারেজকে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ম্যানসিটির হয়ে সপ্তম গোলটি করেন ডি ব্রুইনা, ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া একটি শটের মাধ্যমে গোল করেন তিনি।
মৌসুমের শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল খেলা হালান্ড, নিজের শেষ ৯ ম্যাচে ছিলেন অনেকটা সাদামটা, করেছিলেন মাত্র ৩ গোল। তাইতো অনেকেই তার শেষও দেখে ফেলেছিলেন। তবে লিপজিগের বিপক্ষে আবারও নিজের ফেরার বার্তা দিলেন তিনি।
এই ম্যাচে পাঁচ গোল করার মাধ্যমে বেশকিছু রেকর্ড স্পর্শ করেছেন সিটির নরওয়েজিয়ান ফরওয়ার্ড আর্লিং হালান্ড। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৯ গোল করে সিটির হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড করেছেন তিনি। এছাড়াও মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করেছেন তিনি। এর আগে ২০১২ সালে লিওনেল মেসি এবং ২০১৪ সালে লুইস আদ্রিয়ানো এই টুর্নামেন্টে করেছিলেন পাঁচ গোল।