বিশ্বকাপে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ম্যাচ তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে পয়েন্ট তালিকার শেষ আটে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ইনিংস শেষে টাইগাররা সফল। প্যাট কামিন্সের দলের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যা এই বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাশ। দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে তোলেন ৭৬ রান। যা চলমান বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
তবে দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা নিয়ে ফিরেছেন লিটন-তামিম। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে সমান ৩৬ রানের করে ইনিংস। তিনে এসে দারুণ ব্যাটিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। কিন্তু মারনাস লাবুশেনের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। তার আগে খেলেছেন ৫৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।

শান্তর মতো ইনিংসের শুরুটা ভালো করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। নিজের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে তিন ছক্কা মেরে দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তার ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি শেষ হয় রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়ে। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম পারেননি ইনিংস বড় করতে।
তবে তাওহীদ হৃদয় খেলেছেন দুর্দান্ত। চার নম্বরে উইকেটে এসে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন শট খেলেছেন তিনি। এদিন প্যাট কামিন্স-শন অ্যাবোটদের উপর বেশ চড়াও হয়ে খেলেছেন হৃদয়। বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে এসে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর সেঞ্চুরির দিকেই ছুটছিলেন কিন্তু, ৭৯ বলে ৭৪ রান করে মার্কাস স্টয়ানিসের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। শেষে এসে ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহটাকে তিনশোতে নিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবোট ও অ্যাডাম জাম্পা। একটি উইকেট শিকার করেছেন মার্কাস স্টয়ানিস।