২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

১৩৬৯ দিন পর অ্যানফিল্ডে হারলো লিভারপুল

- Advertisement -

ম্যাচের স্কোরালাইন; লিভারপুল ০ – ১ বার্নলি। শুরুতেই একদমে কিছু তথ্য পড়ে ফেলুন।

৬৮ ম্যাচ পর ঘরের মাঠ, অ্যানফিল্ডে হেরেছে লিভারপুল। সবশেষ হার ২০১৭ সালের এপ্রিলে, ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে।

১৯৭৪ সালের পর প্রথমবার অ্যানফিল্ডে জিতেছে বার্নলি। গেল বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবার পথে ১৯ হোম ম্যাচের ১৮টি জিতেছিলো ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। যে একটা ম্যাচ ড্র করেছিলো, সেটা বার্নলির সাথে।

৪৪০ মিনিট, কোন গোল পাননি সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা।

২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথম ১৯ ম্যাচ পরে লিভারপুলের পয়েন্ট ছিলো ৫৫, লিগ টেবিলে সবার ওপরেতো ছিলোই; পয়েন্টের ব্যবধান ছিলো ১৩।

তথ্যগুলো ইপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দূর্দশার কতুটুকুই বা বোঝাতে পারলো? ফুটবলারদের খেলার ধরণে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি যেমন স্পষ্ট, তেমনি নিজেদের ট্রেডমার্ক গতিময় ফুটবলও খেলতে ব্যর্থ হচ্ছে লিভারপুল ফুটবল ক্লাব। ম্যাচে ৭২ শতাংশ বলের দখল কিংবা ৩০বার প্রতিপক্ষ বার্নলির ডিবক্সে ক্রস করার পরিসংখ্যান কেবলই নামকাওয়াস্তে। দিন শেষে ম্যাচে হেরে যাওয়াই সবকিছু।

 

মৌসুমে প্রথমবার লিভারপুলের শুরুর একাদশে ছিলেন ডিভোক ওরিগি। বেলজিয়ান স্ট্রাইকার দারুণ সুযোগ পেয়েও শুরুর দিকে বল মেরেছেন পোস্টে। ৬০ মিনিট পর ওরিগি আর শাকিরির বদলি হিসেবে সালাহ এবং ফিরমিনোকে মাঠে নামান ক্লপ। দুজনেই একটা করে সুযোগ নষ্ট করেছেন। লিভারপুলের বিখ্যাত ‘ফ্রন্টথ্রি’ ব্যর্থ এই কথা যেমন সত্যি; তেমনি সত্য, বার্নলি গোলকিপার তরুণ নিক পোপের অসাধারণ পারর্ফম্যান্স, রীতিমতো লেটার মার্ক পাবে বার্নলির জমাট ডিফেন্স।

ম্যাচের শেষ নাটকটা ৮৩ মিনিটে। অ্যালিসনের ভুলে পেনাল্টি পায় বার্নলি। স্পট থেকে অ্যাশলি বার্নসের গোলে ৪৭ বছর পর অ্যানফিল্ডে জয় পায় বার্নলি, ৩ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোন থেকে ওপরে উঠা বার্নলির পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ১৯।

 

নতুন বছরে এখনো পর্যন্ত কোন লিগ ম্যাচ না জেতা লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৪। পয়েন্ট টেবিলের তিনে। অলরেডদের সমান ১৯ ম্যাচ খেলে টেবিল টপ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৪০। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৩৮, সিটিজেনরা ম্যাচ খেলেছে ১৮টি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img