লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় ৬ উইকেটে ২০৫ ছিল বাংলাদেশের। টেস্টের প্রথম দিন মাঠে গড়িয়েছিলো মাত্র ৩৫ ওভার। এরপর দুইদিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। চতুর্থ দিনে অপরাজিত হিসেবে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক। কিন্তু দিনের দুই সেশনও টেকেনি বাংলাদেশ। ২৩৩ রানে থেমেছে টাইগারদের প্রথম ইনিংস।
দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। দলীয় ১১২ রানে ৩২ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মুমিনুল। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১১০ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। দলীয় ১৪৮ রানে ৩০ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিটন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনিও ফেরত যান।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝেই ১৭২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে মুমিনুল। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুমিনুলের সেঞ্চুরির আনন্দ নিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে বিরতির পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ব্যাটিং অর্ডার। সপ্তম উইকেট মুমিনুল–মিরাজের পঞ্চাশোর্ধ জুটি ভাঙ্গেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ৪২ বলে ২০ রানে থামে মিরাজের ইনিংস।
মিরাজের পর একে একে ফিরে গেছেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল।
ভারতের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্র আশ্বিন ও আকাশদ্বীপ। জাদেজা নিয়েছেন একটি।