বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার বলা হয় তাকে। টেস্টে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও তার দখলে। বলছি মোহাম্মাদ আশরাফুলের কথা; সুপারস্টার থেকে ভিলেন বনে যাওয়া, আশরাফুলের কথা।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে আট বছরের জন্য আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আশরাফুল। এরপর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেটে, কিন্তু আগের সেই আশরাফুলের আর দেখা মেলেনি। তবে তিনি ব্যাট আর প্যাড জোড়া তুলে রেখে মনোযোগ দিতে চান কোচিংয়ে। এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে আবুধাবি থেকে আইসিসি ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে লেভেল-৩ কোচিং কোর্স করে এসেছেন।
স্পট ফিক্সিংয়ের পর জীবনের উত্থান-পতন দেখেছেন আশরাফুল। সে সময় কিভাবে কাটিয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন অ্যাশ। তিনি বলেন, “ক্যারিয়ারের অনেক উত্থান-পতন আমার দেখা। আমি নিজেকে সব সময় একজন ইতিবাচক মানুষ ভাবি। আমার জীবনে যে ঘটনা ঘটেছে, ইতিবাচক মানসিকতা না থাকলে সেখান থেকে ফিরে আসা সহজ হতো না। একটা পর্যায়ে তো মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। ইতিবাচক চিন্তা করেই সে অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি”
কোচের ভূমিকায় গেলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর ঘটনা কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল বলেন, “আশা করি কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। পড়লে ইতিবাচক প্রভাবই পড়ার কথা। কারণ সেই ঘটনাও ক্রিকেটেরই অংশ”
আশরাফুলকে কোচ হিসেবে দেখতে হলে অপক্ষা করতে হবে আরও একটি মৌসুম। আগামী জাতীয় লিগ খেলার পর থেকেই কোচিংয়ে নেমে পড়বেন তিনি। দেখার বিষয়, ক্রিকেটার আশরাফুল কোচ হিসেবে কতটা সফল হতে পারেন।
