২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

ধার করা জুতোতে ক্রিকেট শেখা, আইপিএলে নাম উঠিয়ে কোটিপতি!

- Advertisement -

সন্তান লেখাপড়া করে একটি সরকারি চাকরি পাবে, পরিবারের হাল ধরবে। অভাব-অনটনে থাকা পরিবারের বাবা-মা’র স্বাভাবাকি চাওয়া এমন্ই হয়ে থাকে। ভারতের গুজরাটের একটি গ্রামে চেতন সাকারিয়ার টেম্পো চালক বাবা চাইতেন ছেলে বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরবে, তাই তাকে বাধা দিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলতে।

কিন্তু চেতন সাকারিয়ার স্বপ্ন ছিলো, ক্রিকেটারই হবেন….সেই স্বপ্ন পূরণে পারিবারিক বাধা কিংবা দারিদ্র কোনটার কাছেই হার মানেননি গুজরাটের বালক। ঘরে টিভি ছিলনা, বন্ধুর বাড়িতে টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখেই সাকারিয়ার স্বপ্নের ডানা মেলার শুরু।

সেই বাবাই পড়ে তার ক্রিকেট শেখার সঙ্গী হয়েছেন। অনুশীলনে ছেলে ভুল করলে নোট করে রাখতেন, পড়ে তা ধরিয়ে দিতেন। এভাবেই সাকারিয়া উতসাহ পেতেন বাবার কাছে। তারপরও বাবা পুরোপুরি চাইতেন না ছেলে ক্রিকেটার হোক, সংসারের জন্য পয়সাকড়ি রোজগারই ছিলো ছেলের কাছে বাবার চাওয়া। কিন্তু স্বপ্নবাজ সাকারিয়া থামতে চাননি। মামার ব্যবসায় হাত লাগান, আর মামা তাকে ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন।

সেখান থেকে স্কুল ক্রিকেট, বয়সভিত্তিক দল পেরিয়ে সৌরাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পান। অনুশীলনের স্পাইক জুতোটাও ছিলনা। ধার করা জুতোতে অনুশীলন করতেন। একবার একটা চ্যালেঞ্জ আসলো নেট অনুশীলনের সময়। বোল্ড করতে পারলে নিজের স্পাইক জুতো দিয়ে দিবেন এমন শর্ত দেন ঘরোয় ক্রিকেটের তারকা শেলডন জ্যাকসন। সেই চ্যালেঞ্জ জিতে নিজের একটা জুতো হয়েছিল চেতন সাকারিয়ার।

ধার করা জুতো দিয়ে ক্রিকেট শেখা সেই সাকারিয়া এখন কোটিপতি। তাকে কোটিপতি বানিয়ে দিচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএল। এক কোটি বিশ লাখ রুপিতে এই বামহাতি পেসারকে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। গেল মৌসুমে নেট বোলার ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর। সেখান থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে। এবারতো বাটলার, বেন স্টোকস, এমনকি মোস্তাফিজও সাথেও খেলবেন সাকারিয়া।

সাকারিয়া জানেন কি করতে হবে। এ পর্যন্ত আসতে অনেক চড়াই-উতরাই ছিল। আইপিএলের মঞ্চে পা রাখছেন,  এখানে নজর কাড়তে পারলেই তো স্বপ্নবাজ সাকারিয়া হয়তো স্বপ্নের পূর্ণতা পাবে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img