২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পেসার থেকে উইকেটকিপার, সোহানের জীবনে ‘ধোনির’ অবদান

- Advertisement -

নুরুল হাসান সোহানকে দেশসেরা উইকেটকিপারদের একজন বললে বোধহয় খুব বেশি ভুল হবে না। অথচ অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেটে সোহান খেলেছেন পেস বোলার হিসেবে! সেখান থেকে হাতে গ্লাভস তুলে নেয়ার পেছনে টাইগার উইকেটকিপারের আছে অন্য এক গল্প। যেই গল্পে নায়ক সোহান নিজেই, পার্শ্বচরিত্রে আছেন অনেকেই!

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটপাগল সোহান। অন্যসব বাচ্চাদের মতো তিনিও মাঠে যেতেন, বড়দের খেলা দেখতেন। কখনো কখনো বড়রা যদি খেলায় নিতোও, সোহান তাদের সাথে তাল মিলিয়ে পারতেন না খেলতে, দৌড়তে। তাই খেলার সুযোগ হলেই দাঁড়িয়ে যেতেন উইকেটের পেছনে। এভাবেই টেপটেনিস খেলতে খেলতে একদিন ক্রিকেট বলে পৌঁছে গেলেন ছোট্ট সোহান। সেখানেও শুরুটা করেছিলেন উইকেটকিপার হিসেবেই। কিন্তু শক্ত ঐ বলটা বারবার তার চোখেমুখে আঘাত হানায় সোহান নিস্তার পেতে বেছে নিয়েছিলেন পেস বোলিং করার পথ।

খুলনায় অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেট খেললেন পেসার হিসেবেই। কিন্তু, তৎকালীন কোচ শেখ সালাউদ্দিন এবং মনির স্যারের পরামর্শে আবারও হাতে তুলে নিলেন গ্লাভস। এরপর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। পেসার হয়ে বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখা সোহান তখন থেকেই উইকেটকিপার।

ধোনির মতো শেষ মুহুর্ত অব্দি বলে চোখ রাখাতেই বিশ্বাসী সোহান

উইকেটকিপার হিসেবে নুরুল হাসান সোহানের অবশ্য আছে আলাদা মতাদর্শ। ক্রিকেটের সংস্কৃতি হিসেবে ছোট থেকেই শেখানো হয় বল পিচে বাউন্স না করা অব্দি বসে থাকতে, উঠে না দাঁড়াতে। আর এতে বল যে থাকে মিস করার সম্ভাবনা সেটা সময়ের সাথে সাথে খুব ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলেন সোহান। নিজেকে তৈরী করেছেন আলাদাভাবে, কিন্তু কারোর সঙ্গটাও তো ছিল প্রয়োজন! সেই সঙ্গটাই সোহান পেলেন সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসেরই সেরা উইকেটকিপারদের একজন ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি’র থেকে।

“কিপিং বিষয়ে ধোনির থেকে আমি পরামর্শ নিয়েছিলাম। কারণ, তিনিই এশিয়া মহাদেশের প্রথম উইকেটকিপার যিনি পুরোনো সংস্কৃতিকে অনুসরণ করেননি। আমি তার সাথে এশিয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কিপিং সম্পর্কে গল্প করেছি। সে বলেছিল শেষ মুহুর্ত অব্দি বলে চোখ রাখাটা সবচেয়ে জরুরী। সেইসাথে বল কোন পথে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখাটাও”– ক্রিকবাজকে বলছিলেন সোহান

সোহান কিপিংটা করেন মনের আনন্দে, নিজস্ব মতাদর্শে। তিনি জানেন তাকে প্রতিটা বলেই চোখ রাখতে হয় সমান গুরুত্বের সাথে। মনোযোগ একটুখানি এদিক ওদিক হলেই যে বলটা বেরিয়ে যাবে হাত ফসকে সেটা তার চেয়ে ভালো আর কে জানেন! সেকারণেই কখনো ভুল হয়ে গেলেও সোহান সেটাকে সেখানেই ভুলে যান। পরের বলে দেন সম্পূর্ণ মনোযোগ, চান প্রতিটা সুযোগকেই সেরাভাবে কাজে লাগাতে। আর উইকেটের পেছনে অবিরত কথা বলে যাওয়া? সেটা তো সোহানের সহজাত বৈশিষ্ট্য…

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img