৬৭ থেকে ৮৯, মাঝে মাত্র ৬ বলের ব্যবধান! ইনিংসের ৩৫তম ওভারের ঘটনা, ৫ ওভারে ২৩ রান দেয়া হ্যারি টেক্টরের এক ওভারেই সাকিব নিলেন ২২; টানা চার বাউন্ডারি, শেষটাও চার দিয়েই, মাঝে শুধু একটা দুই! ঐ একটা ওভারে সাকিব বদলে দিয়েছেন ম্যাচের গতিপথটাই, বলা যায় ঐ একটা জায়গাতে ম্যাচেও সম্পূর্ণভাবে পেছনে পড়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দিতে সাকিব অবশ্য বরাবরই ওস্তাদ মানুষ।
সাকিবের শতক দেখতে সবার যখন নড়েচড়ে বসার শুরু, ঠিক তখনই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের আত্মহত্যা। ক্যারিয়ারের মাত্র পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামা ডানহাতি পেসার গ্রাহাম হিউমের অফ ইয়র্কার বলটাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সঠিকভাবে ব্যাটে-বলে না হওয়াতেই বাঁধলো বিপত্তি, বলটা লুফে নিতেই পেছন থেকে উইকেটকিপার টাকারের আবেদন এবং আম্পায়ারের আউটের ইশারা!
৮৯ বলে ৯ চারে ৯৩ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে সাকিব আল হাসান। অথচ, খেলার তখনও বাকি ছিল ১৩ ওভার! সাকিব চাইলেই একটু রয়ে-সয়ে খেলে তুলে নিতে পারতেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম শতকটাও। সাদা বলের ক্রিকেটে সাকিবের ব্যাটে সেঞ্চুরি নেই চার বছর, অপেক্ষার অবসনটা হলো না সাত হাজারের ক্লাবে সাকিবের প্রবেশ করার ম্যাচেও!

সাকিবকে নিয়ে একটা আক্ষেপ প্রায়ই করতে শোনা যায় ক্রিকেট মহলের অনেককেই! নামের পাশে সেঞ্চুরি কতগুলো সেটা বলার জন্য বড় কোনো সংখ্যা নেই তার। সাকিব নিজেও হয়তো কখনো শতকের কথা ভেবে খেলেননি। শুধুমাত্র ওয়ানডেতেই সাকিব চারবার প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন নার্ভাস নাইটিজে; ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৯২*, আঠারোতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৭, একুশে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৬* আর আজকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩! সাকিবের নিজের কি আক্ষেপ হয় না?
হয়তো হয়! পরিসংখ্যানতো কতবারই ওলট-পালট হয়েছে তার জন্য, কত গুনগানই তো গাওয়া হয়েছে তাকে নিয়ে! একবার দুইবার নাহয় আক্ষেপই সঙ্গী হলো! সাকিবও হয়তো এভাবেই ভাবেন…