বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভারত ‘এ’ দলের প্রথম চারদিনের ম্যাচে ভারতীয় দল যে একাদশ খেলিয়েছে, সেখানে সাদা পোশাকের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে মাত্র ২ জনের। অফস্পিনার জয়ন্ত ইয়াদব খেলেছেন ৬ ম্যাচ আর পেসার নবদ্বীপ সাইনির নামের পাশে ২ টেস্ট। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সেরা একাদশের মাত্র তিনজন এখনো টেস্ট খেলেননি। বাকি আটজন মিলে খেলেছেন পাক্কা দেড়শ টেস্ট। ক্রিকেটের বনেদী ফরম্যাটে ১৫০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা একটা দলের ক্রিকেটাররা কিনা চারদিনের ম্যাচের প্রথমদিনে ব্যাটিং-বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টেই একদম দাঁড়াতে পারলেন না! প্রতিবেশী দুই দেশের ক্রিকেটারদের স্কিলের পার্থক্য ঠিক কতখানি, এই একটা তথ্যেই নিশ্চয়ই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায়।
কক্সবাজারের শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ওভারেই সাইনির বলে বোল্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়, দলের রান তখন ১। পরের ওভারেই আউট জাকির হাসান, স্কোরবোর্ডে তখন ২ রানে ২ উইকেট। শুরুর ব্যর্থতা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি মোহাম্মদ মিঠুনের দল, ৫ উইকেট হারায় ২৬ রানে।
সেখান থেকে দলকে ১০০ রানের কমে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে ৬টি চারের সঙ্গে ৩ চারের সাহায্যে ৮৮ বলে ৬৩ রান। সৈকত বাদে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন ‘এ’ দলের মাত্র দুইজন ব্যাটার! নাজমুল হোসেন শান্ত’র ব্যাট থেকে ১৯ এবং তাইজুল ইসলাম করেছেন ১২ রান। দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১১২ রান করে। সাইনির ৩ উইকেটের সঙ্গে সৌরভ কুমার নিয়েছেন ৪ উইকেট। মুকেশ কুমার ২ এবং অতীত শেঠ নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন যশস্বী যশওয়াল এবং অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরণ। দিনশেষে দুজনই অপরাজিত, দুজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ভারতীয় ‘এ’ দলের স্কোর বিনা উইকেটে ১২০, মিঠুনদের প্রথম ইনিংসের মোট রানের চেয়ে ৮ রান বেশি। বাংলাদেশের হয়ে হাত ঘুরানো ৫ বোলারের সবাইই সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন, এর মধ্যে ৪ জনেরই আছে দেশের হয়ে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।