২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

বিপিএল ছেড়ে চলে যাবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা !

- Advertisement -

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে দেশি ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্স দারুণ, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও ব্যাটে-বলে দাপট দেখাচ্ছেন। তাদের কারণেই মূলত এবারের বিপিএল বেশ জমে উঠেছে। তবে চলমান বিপিএলের মাঝপথেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দেশটির ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের সেরা ঘরোয়া আসর তার রঙ হারাবে!

পাকিস্তানের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিপিএলে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আগামী ২ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পিসিবি। কারণ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের সকল লোকাল খেলোয়াড়দের নিয়ে পিএসএলের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চায়। তাই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের এমন নির্দেশনা দিয়েছে পিসিবি।

পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আগামী ৮ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন। তবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর চাওয়ায় সপ্তাহখানেক আগেই তাদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। যদিও কিছু ক্রিকেটার ৮ তারিখ পর্যন্তই এনওসি চান; এক্ষেত্রে পিসিবি বলেছে তারা ক্রিকেটারদের ৮ তারিখ পর্যন্তই বাংলাদেশে থাকার অনুমতি দিবে যদি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রাজি হয়। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের ব্যাপারে পিসিবি বরাবর মেইল করতে হবে।

সাউথ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি, ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি এবং বিগ ব্যাশের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক কুড়ি ওভারের টুর্নামেন্টগুলোর জন্য বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো খুব একটা ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পায়নি। তবে আশার আলো হয়ে ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। শুধু নাম নয়, কাজেও মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, ইফতেখার আহমেদরা ছিলেন টপ ক্লাস। এই আসরের তিনটি সেঞ্চুরির সবগুলোই এসেছে পাকিস্তানি ব্যাটারদের থেকে।

পাকিস্তান সুপার লিগের এবারের আসর মাঠে গড়াবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্সের মুখোমুখি হবে তার আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতান।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img