ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে মার্ক চাপম্যান শেষবার হান্ড্রেডের দেখা পেয়েছিলেন প্রায় সাত বছর আগে। এরপর অনেক কিছুর পরিবর্তন দেখেছে বিশ্ব। হংকং এর ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের, দেশ পরিবর্তনও তার মাঝে একটি। অভিষেকে হান্ড্রেড করা এই ব্যাটসম্যান গত সাত বছরে দুই দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র সাতটা।
প্রথম ছয় ম্যাচের ক্যারিয়ারে বড় কীর্তি বলতে ওয়ানডেতে অভিষেকে হান্ড্রেডের এলিট ক্লাবে নাম লেখানো, কোনো দেশের হয়ে ইন্টারন্যাশনালে প্রথম শতক আর দুই দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলার কীর্তি। সপ্তম ম্যাচ শেষে আরো এলিট হয়ে গেলেন হংকংয়ে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার।
রোববার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৭৫ বলে ১০১* রানের ইনিংস। তার তাতেই নতুন রেকর্ড। আরো একবার এলিট ক্লাবে প্রবেশ। দুই দেশের হয়ে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অনন্য কীর্তি। যেটা পাঁচ দশকের ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো।
এর আগে সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এউইন মরগান। ২০০৭ সালে আইরিশদের হয়ে কানাডার বিপক্ষে হান্ড্রেডের দেখা পেয়েছিলেন এই আইরিশ। ২০১০ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে হান্ড্রেড তুলে নিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুই দেশের হয়ে ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই ব্যাটসম্যান।
মরগানের মতো ২০০৭ সালে প্রথম ওয়ানডে হান্ড্রেডের দেখা পান আরেক আইরিশ এড জয়েস। অজিদের বিপক্ষে নিজের প্রথম হান্ড্রেড করেন ইংলিশদের হয়ে। ৬ বছর পর আইরিশদের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হান্ড্রেডের দেখা পান এই ওপেনার।