২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

ইউরোপায় সেভিয়ার সপ্তম শিরোপা জয়

- Advertisement -

ছয়বার ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠে প্রত্যেকবারই শিরোপা জিতেছে সেভিয়া। ইউরোপা লিগের ‘রাজা’ বলা হয় সেভিয়াকে। অন্যদিকে রোমা কোচ জোসে মরিনিও কখনো ফাইনালে হারেনি। ৫বার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই শিরোপা জিতেছেন ‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত মরিনিও। নিজেদের রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মরিনিওর রোমা ও সেভিয়া। ট্রাইবেকারে রোমাকে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে সেভিয়া।

ফাইনালে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে রোমা। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার লেভারকুসেনের সাথে ডিফেন্সিভ খেলেছিল রোমা। কিন্তু ফাইনালে ডিফেন্স ঠিকে রেখে একের পর এক আক্রমণ করে রোমা। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে সেভিয়াকে কোনো সুযোগই দেয়নি রোমের দলটি। এই সময়ে রোমার গোলে কোনো শট নিতে পারেনি স্প্যানিশ ক্লাবটি। উল্টো ৩৪ মিনিটে অসাধারণ গোল করে রোমা সমথর্থকদের আনন্দে ভাসান পাওলো দিবালা। বিরতিতে যাওয়ার আগে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল সেভিয়ার সামনে। কিন্তু ইভান রাকিতিচের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সেভিয়া।

শিরোপা জয়ের পর সেভিয়ার খেলোয়াড়রা

বিরতি থেকে ফিরে রোমার ডিফেন্সে চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে সেভিয়া। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে রোমার রক্ষণ। সমতা ফেরাতে বেশি বেগ পেতে হয়নি রাকিটিচদের। রোমা ডিফেন্ডার জিয়ানলুকা মানচিনি নিজেদের জালে বল জড়ালে সমতায় ফেরে সেভিয়া। এরপর আর দুই দল গোল করতে না পারলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও দুই দলের জমাট রক্ষণ ভাঙ্গতে পারেনি কোনো দল।

ট্রাইবেকারে সেভিয়াকে জয় এনে দেন মরক্কোকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক ইয়াসিন বুনো। মানচিনির নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন তিনি। পরে রজার আইবানেজ পোস্টে বল মারলে জেতার আশা শেষ হয়ে যায় রোমার। বিশ্বকাপে শেষ পেনাল্টিতে গোল করে ম্যাচ জেতানো গঞ্জালো মন্তিয়েলের সামনে আসে সেভিয়াকে ম্যাচ জেতানোর। প্রথম শটে মিস করেন তিনি। কিন্তু তার নেওয়া শটের সময় রোমা গোলকিপার এগিয়ে আসায় আবারো পেনাল্টে নেওয়ার সুযোগ পান মন্তিয়েল। এবার আর হতাশ করেননি আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। গোল করে সেভিয়াকে শিরোপা জেতান তিনি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img