প্রায় একবছর যাবত জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন। এর মধ্যে অনেক আক্ষেপ, অনেক হতাশাও সঙ্গী হয়েছে তাঁর। তবে, জেমি সিডন্স টাইগারদের ব্যাটিং কোচ হয়ে আসার পরে কিছুটা হলেও যেন খুলেছে মিঠুনের ভাগ্য। সাউথ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলে না থাকলেও সিডন্সের চাওয়াই হয়েছেন ক্যাম্পের সদস্য, বর্তমানে আছেন গ্যারি কার্স্টেন একাডেমিতে। স্বয়ং গ্যারি কার্স্টেনের কাছ থেকে শিখে নিচ্ছেন সাউথ আফ্রিকায় ভালো করার টোটকা। আর সেখানকার কন্ডিশনে ভালো করার মূলমন্ত্রটাই নাকি ধৈর্য ধরে খেলা!
“মূলত তিনি (কার্স্টেন) ব্যাটসম্যানদের ধারণা দিচ্ছেন, কীভাবে এই কন্ডিশনে আমাদের ইনিংস খেলতে হবে। আমি মনে করি, এখানে ১০টি সেশন শেষ করার পর এখানকার কন্ডিশন এবং এখান থেকে আমরা কী আশা করতে পারি সে সম্পর্কে ভাল একটা ধারণা পাব”-‘ক্রিকবাজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন

সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পর থেকেই গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করছে টাইগার টেস্ট স্কোয়াড। কন্ডিশনের সাথে এখনো পুরোপুরি মানিয়ে নিতে না পারলেও বুঝতে পারছে উইকেটের ধরণ। আর সেটা বোঝানোর দায়িত্ব নিয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন নিজেই। এ ব্যাপারে মিঠুন জানান, “আমি মনে করি সাউথ আফ্রিকার কন্ডিশন বেশ কঠিন এবং গতি- বাউন্স পরিবর্তিত হয়। আমরা সেন্টার উইকেটে ব্যাট করার সময় এটি অনুভব করেছি। এখানে লাল বলে শট খেলা খুব কঠিন, কার্স্টেনও একই কথা বলেছেন। অন্যান্য জায়গায় স্কোরিং রান রেট তিন-সাড়ে তিন কিংবা সাড়ে চার, কিন্তু এখানে তা হবে না।”

সবুরেই মেওয়া ফলবে, অর্থাৎ সাউথ আফ্রিকার মতো কঠিন কন্ডিশনে সাফল্য পেতে ক্রিকেটারদের ধৈর্য ধরতেই হবে। আর এ কথাটাই নাকি টাইগারদের মাথায় ভালভাবে ঢুকিয়ে দিচ্ছে কার্স্টেন। এ প্রসঙ্গে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, “যদি আমরা ওভার প্রতি তিন থেকে চার রান করতে চাই, হয়তো আমরা একটি বা দুটি বল খেলতে পারব তবে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যাব। তাই কার্স্টেন জোর দিচ্ছেন ধৈর্যের উপরেই। কারণ এটাই এখানে সাফল্য পাওয়ার মূল চাবিকাঠি। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এটি টেকনিকের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
“যেমন আপনি একটি বলকে চার মারতে পারেন কিন্তু একই জায়গায় একই ধরনের ডেলিভারিতে অতিরিক্ত বাউন্স বা সিম থাকার কারণে আপনি আউটও হয়ে যেতে পারেন। তাই আপনার মেন্টাল অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং ক্লিয়ার গেম-প্ল্যান থাকাটা জরুরী, যা ধৈর্যের মাধ্যমে আসবে”-তিনি আরও বলেন