২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

স্থগিত হতে পারে অ্যাশেজ

- Advertisement -

অ্যাশেজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বেশকিছু প্রথম সারির ইংলিশ খেলোয়াড়। আর ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে তাই অ্যাশেজ আয়োজন নিয়েই আছে সন্দেহ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বায়ো বাবলের কারনে সৃষ্টি হওয়া মানসিক অবসাদে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে। শনিবার এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে মাঠে গড়াবে টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম মর্যাদার লড়াই অ্যাশেজ। অ্যাশেজে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে থাকে অজি এবং ইংলিশ ক্রিকেটাররা, সেই ধারায় হয়তো এবার পরিবর্তন আসছে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকার কারনে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে অ্যাশেজ থেকে। কেননা ইংল্যান্ডের আছে ব্যস্ত সূচী। আগষ্ট থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে ইংল্যান্ড যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে। এর আগে ইংল্যান্ডের আসার কথা আছে বাংলাদেশেও। এই পুরোটা সময়ই ইংলিশরা থাকবে বায়ো-বাবলে। অর্থাৎ ইংলিশ খেলোয়াড়দের টানা চার মাস থাকতে হবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে, পরিবার-সন্তানদের থেকে দূরে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই ইংলিশদের আবার নেমে পড়তে হবে অ্যাশেজের মঞ্চে। তাই টানা ছয়-সাত মাস বায়ো বাবলের ঝক্কি সামলে অ্যাশেজের মতো মর্যাদার আসর খেলা ইংলিশদের জন্য বেশ কঠিন। জৈব সুরক্ষা বলয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের জন্য রীতিমতো মানসিক অবসাদে পরিণত হচ্ছে। শুক্রবার এই মানসিক অবসাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতিতে চলে গেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।

ইংলিশ খেলোয়াড়দের টানা চার মাস থাকতে হবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে, পরিবার-সন্তানদের থেকে দূরে

এর আগেও ২০১৭ অ্যাশেজ আয়োজন নিয়েও ছিল শঙ্কা। সেবার অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তিজনিত সমস্যা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। সেবার সিএ খেলোয়াড়দের উপর চুক্তির বোঝা চাপিয়ে দিতে চাইলেও সেটা কাজে আসেনি। কেননা প্রথম সারির খেলোয়াড়দের ছাড়া অ্যাশেজ আয়োজন করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ কঠিন। যেমনটা দলের প্রধান সদস্যদের ছাড়া ইংল্যান্ডের জন্য মাঠে নামা অসম্ভব। তাই খেলোয়াড়দের কথাই বিবেচনা করে হয়তো অ্যাশেজ খেলতে যেতে নাও পারে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড পরিস্থিতির অবনতিও ইংল্যান্ডের অ্যাশেজে খেলতে না যাওয়ার বড় কারন হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম কাজ না করায় আক্রান্তের হার বাড়ছে, ফলে আগের থেকে অর্ধেক মানুষকে বিদেশ থেকে অনুমতি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img