২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

হেরেও রেকর্ড গড়লো কাতার! ভালেন্সিয়ার জোড়া গোলে ইকুয়েডরের বাজিমাত

- Advertisement -

আয়োজক কাতারের আশার গুঁড়ে বালি, উল্টো গড়লো রেকর্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার, উদ্বোধনী ম্যাচেই হারলো স্বাগতিকরা। যখন থেকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আয়োজক দেশ মাঠে নামার রীতি চালু হয়েছে, তখন থেকে সবশেষ বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রথম ম্যাচে হারেনি কোন স্বাগতিক দেশ! সেই হিসেবে হেরেও রেকর্ড বুকে কাতার। একতরফা খেলে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর, জোড়া গোল করেছেন ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক এনের ভালেন্সিয়া।

জোড়া গোল করেছেন ইকুয়েডরের এনের ভালেন্সিয়া (ছবি:ফিফা)

কাতার বিশ্বকাপের শুরুটা হতে পারতো উদ্বোধনী ম্যাচে দ্রুততম গোলের রেকর্ড দিয়ে। তিন মিনিটেই কাতারের জালে পাঠানো ইকুয়েডরের গোলটা বাতিল হয়েছে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির সিদ্ধান্তে; অফসাইডের কারণে, ঠিক যেনো সুতার মাপে অফসাইড! যদিও সাইড বাই সাইড হিসেবে পুরো প্রথমার্ধেই কাতারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে ইকুয়েডর, দুই গোলের লিড নিয়ে গেছে বিরতিতে। দুই গোলই করেছেন এনের ভালেন্সিয়া।

প্রথম গোলটা পেনাল্টিতে। কাতার জার্সিতে ৮৫তম ম্যাচ খেলতে নামা গোলকিপার সাদ আলশিব ওয়ান টু ওয়ানে ভালেন্সিয়াকে থামাতে গিয়ে করে বসেন গড়বড়, বল আটকানোর বদলে আটকে দেন ইকুয়েডরের সর্বোচ্চ স্কোরারের পা। ১৬ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে স্পটঅন ইকুয়েডরের বর্তমান স্কোয়াডের বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র সদস্য ৩৩ বছর বয়সী ভালেন্সিয়া।

পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করছেন ভালেন্সিয়া (ছবি: ফিফা)

ক্লাব ফুটবলে তুরস্কের দল ফেনারবাচেতে খেলা ভালেন্সিয়া চলতি মৌসুমে আছে দারুণ ফর্মে, ক্লাব জার্সিতে ১২ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল। তুরস্ক থেকে সেই ফর্মই কাতারে নিয়ে এসেছেন, একত্রিশ মিনিটে রাইট উইংব্যাক অ্যাঞ্জেলো প্রেসাইডোর ক্রসে দূরের পোস্টে আনমার্কড থাকা ভালেন্সিয়া চার ফুটের মতো লাফিয়ে উঠে হেড করেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে ভালেন্সিয়ার ৩৭তম গোল, কাতারের বিপক্ষে দুই গোলের লিডে দক্ষিণ আমেরিকানরা। তবে প্রথমার্ধেই হাঁটুতে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়া ভালেন্সিয়ার জন্য একটু হলেও ভাবতে হচ্ছে ইকুয়েডরকে।

ছবি: ফিফা

 

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সবচেয়ে সহজ সুযোগটা নষ্ট করে কাতারের ফরোয়ার্ড আল মোয়েজ আলী। সতীর্থের ক্রস ফাঁকায় থেকেই ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। হতাশা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিকরা।

প্রথমার্ধে খেলা ফুটবলের ধার পরে পঁয়তাল্লিশ মিনিটেও ধরে রেখেছিলো ইকুয়েডর তবে দুই গোলের লিডের পর টানা আক্রমণ করার চাইতে নিজেদের দশ্যে বল রেখে, ধরে খেলাই ছিলো লক্ষ্য; মাঝেমধ্যে সুযোগ বুঝে আক্রমণ। ম্যাচের শুরু থেকেই খেই হারানো কাতারের খেলায় না ছিলো পরিকল্পনা, না ছিলো গোল করার মতো যথেষ্ট সম্ভাব্য আক্রমণ। এমনকি পুরো খেলায় গোলবারে একটা শট নিয়ে পারেনি স্বাগতিকরা! তারা ম্যাচ জিতলে তো ফুটবলের সাথেই অন্যায় হতো। ম্যাচের সত্তর মিনিট যেতে না যেতেই বিভিন্ন প্রেডিক্টর ওয়েবসাইট দেখাচ্ছিলো, স্বাগতিদের জয়ের সম্ভাবনা শতকরা ০.১ ভাগ! ওই সম্ভাবনাই ছিলো নিশ্চিত ভবিতব্য, অপেক্ষা ছিলো কেবল নব্বই মিনিটের বাঁশির।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img