৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার

জার্মান কাপে বায়ার্নের গোলবন্যা

- Advertisement -

জার্মানির ঘরোয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট ডিএফবি পোকালে (‘জার্মান কাপ’ নামে পরিচিত) বুধবার পঞ্চম বিভাগের দল ব্রেমার এসভির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের ৮ মিনিট থেকে শুরু করে তান্ডব চালিয়েছে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত; ব্রেমার এসভির জালে বল জড়িয়েছে গুণে গুণে ১২ বার। বায়ার্নের ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং একায় করেছেন চার গোল, সাহায্য করেছেন তিনটিতে।

অতিমানবীয় পারফরম্যান্স বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়দের জন্য নতুন কিছু নয়। বছর খানেক আগেও এফসি শালকের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৮ গোল করেছিল বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে, সেটাই তাদের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল ছিলনা, এর আগে ২০১৩ সালে বাভারিয়ানদের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯টি গোল ছিল, হামবুর্গের বিপক্ষে। এবার সেই নয় গোলের রেকর্ডকে ছাপিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দল।

Image
চুপো-মোতিং একায় করেছেন চার গোল

ব্রেমার এসভির বিপক্ষে ম্যাচে দলে ছিলেননা রবার্ট লেভান্ডফস্কি, লিওন গোরেটজকা, ম্যানুয়েল নয়্যারের মতো তারকারা। ছিলেননা দায়োত উপামেকানো, আলফনসো ডেভিসরাও। কিন্তু জার্মান চ্যাম্পিয়নদের এই তরুণ দলটিই পুরো ম্যাচেই ব্রেমারকে নিয়ে করেছে রীতিমত ছেলেখেলা। ম্যাচের ৮ মিনিটেই ডি-বক্সে লেরয় সানের বাড়িয়ে দেওয়া বল ব্রেমারের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ছিটকে গেলে সেটাকে গোলে পরিণত করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং। সেই যে শুরু হলো, এরপর নিয়মিত বিরতিতে এসেছে গোল। দ্বিতীয় গোল আসে আরো ৮ মিনিট পর। চুপো-মোতিংয়ের এসিস্টে দারুণ ফিনিশিং জামাল মুসিয়ালার। ২৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ৩-০ তে পিছিয়ে পড়ে ব্রেমার। ডিফেন্ডার জাঁ লুকা ওয়ার্ম শেষ মুহূর্তে বলে পা ছুঁইয়ে না দিলে এই গোলটিও যেত মুসিয়ালার ঝুলিতে। প্রথমার্ধে দুঃস্বপ্নের আরো বাকি ছিল ব্রেমারের। ৭ মিনিটের ব্যবধানে আরো দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন চুপো-মোতিং। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৫-০ ব্যবধানে।

Image
জামাল মুসিয়ালার পা থেকে এসেছে দুইটি গোল

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ৪৬ মিনিটে নিকলাস সুলে, জোশুয়া কিমিচ ও থমাস মুলারকে তুলে নিয়ে ক্রিস রিচার্ডস, মাইকেল কুইস্যান্স ও মালিক টিলম্যান কে নামানো হয়। এক মিনিটের ব্যবধানে, ৪৭ মিনিটে গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন বায়ার্ন যুবদল থেকে সদ্য উঠে আসা টিলম্যান। তার এক মিনিট পর স্কোরলাইন ৭-০ করেন জামাল মুসিয়ালা। পরের গোলটি পেতে বায়ার্নের অপেক্ষ করতে হয় দীর্ঘ ১৭ মিনিট। ৬৫ মিনিটে লেরয় সানের গোলে ব্যবধান দাড়ায় ৮-০ তে। ৭৬ মিনিটে লাল কার্ড খেয়ে বের হয়ে যান ব্রেমারের ডিফেন্ডার উগো নোবিল।

ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে যেন খেলার ইচ্ছাই মরে গিয়েছিল ব্রেমার ডিফেন্ডারদের। ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, দিশেহারা খেলোয়াড়দের দেখে মনে হচ্ছিল কোনমতে ম্যাচ শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারলে বাঁচে! কিন্তু বায়ার্ন কি ছাড়ার পাত্র? ডজন পূর্ণ করতে এই ১০ মিনিটে বায়ার্ন দেয় আরো ৪টি গোল! মাইকেল কুইস্যান্স, চুপো-মোতিং, বোউনা সার ও কোরেন্টিন তোলিসো গোলগুলি করেন। ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ গোল এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোতিংয়ের। সর্বোচ্চ ৩টি এসিস্টও তাঁর।

Image
এই স্কোরলাইন কখনোই দেখতে চাইবেনা ব্রেমার

ম্যাচটি হবার কথা ছিল আগস্টের ৬ তারিখে। ব্রেমারের বেশ কিছু খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তখন স্থগিত করা হয়েছিল ম্যাচটি। তবে বুধবার রাতে ম্যাচ শেষে ক্লাবটির কোচ ও খেলোয়াড়দের মনে হতেই পারে ‘খেলাটা না হলেই বোধহয় ভালো হতো”

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img