২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার

জ্যাকসের সেঞ্চুরি, লিটন-মঈনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার ‘২৩৯’

- Advertisement -

চলমান বিপিএলে জ্বলে উঠছিল না লিটন দাশের ব্যাট। যদিও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪৫ রানের একটি ইনিংস খেলে রানে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন কিন্তু পরের ম্যাচেই দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ফিরেছিলেন সিঙেল ডিজিটে। তবে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে রুদ্রমুর্তি ধারণ করেছিলেন এলকেডি। খেলেছেন ৩১ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সাথে উইল জ্যাকসের অসাধারণ সেঞ্চুরি। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা। বিপিএলের ইতিহাসে এটি রংপুরের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান শুভাগত হোম। চট্টগ্রাম অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে বেশিক্ষণ সময় নেননি লিটন-জ্যাকস জুটি। ইনিংসের শুরু থেকেই বন্দর নগরীর দলটির বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিলেন এলকেডি। আলামিন হোসেনের উপর দিয়ে ঝড়টা গেছে বেশি। তার প্রথম দুই ওভার থেকে ৩৫ রান তুলেছে কুমিল্লার দুই ওপেনার।

চট্টগ্রামকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম। ৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করে লিটন ফিরলে ভাঙে ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি। এদিন প্রায় ১৯৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এলকেডি। তাওহীদ হৃদয় ফিরেছেন প্রথম বলেই।

কুমিল্লার আরেক ওপেনার জ্যাকস শুরুতে রয়েসয়ে খেলেছেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে রুদ্রমুর্তি ধারণ করেছেন তিনি। ৩১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন জ্যাকস। এরপর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন জ্যাকস। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৫০ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১০ ছক্কায় ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন জ্যাকস।

চলমান বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন মঈন আলী। দুইবার জীবন পেয়েছেন এদিন তিনি। প্রথমে নিহাদুজ্জামান এরপর তানজিদ তামিম ফেলেছেন ক্যাচ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মঈন। সেই সাথে জ্যাকসের সাথে ৫৩ বলে গড়েছেন ১২৮ রানের জুটি।

চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন শহিদুল ইসলাম। আলামিন হোসেন ৪ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শুন্য।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img