২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার

আর কত!

- Advertisement -

পনেরো বছর পেরোতে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, স্বাভাবিকভাবেই মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের প্রতি প্রত্যাশাও থাকবে বেশী। সেই প্রত্যাশার চাপের কারণেই হোক কিংবা নিজেদের ভুলে, বাংলাদেশের বেশীরভাগ হারা ম্যাচেও আছে এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ভুল। সবার আগে চোখে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা ভাসলেও, আফগানিস্তান সিরিজেও কম ভুল হয়নি। শেষ ম্যাচটাতেই করেছে চারটি ক্যাচ মিস!

প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ যখন ১৯২ তখন শুরুতেই বল হাতে উইকেট তুলে নেয়াটা ভীষণ জরুরী। সেইসাথে ফিফটি ফিফটি চান্সগুলোও নিতে হয় লুফে। আর এখানেই পিছিয়ে বাংলাদেশ, বলা ভালো পিছিয়ে রিয়াদ-মুশফিক।

গুরবাজের তখন ১৩, বল পেরিয়ে যাওয়ার সময় এভাবেই দেখে ছিলেন দুজন দুজনের দিকে

শুরু থেকে শুরু করা যাক। ম্যাচের সপ্তম ওভার; শরীফুল ইসলামের বলে রহমতুল্লাহ গুরবাজের ক্যাচের সুযোগ, অথচ বলটা বেরিয়ে গেল উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম আর প্রথম স্লিপে থাকা ইয়াসির আলীর মধ্য দিয়ে। দুজনেই তাকিয়ে থাকলেন দুজনের দিকে, যেন চলছে কোনো সার্কাস!

গুরবাজ প্রথমবার যখন জীবন পান তখন তার রান ১৩; এরপর শরীফুলের বলেই জীবন পেয়েছেন আরও তিনবার। ২৩তম ওভারে শরীফুলের বাউন্স, গুরবাজের গ্লাভস ছুয়ে বলটা চলে গেল উইকেটকিপার মুশফিকের কাছে। টাইগার উইকেটকিপার বাঁপ্রান্তে ঝাপালেন তো বটেই, কিন্তু বলটাকেই করতে ভুলে গেলেন গ্লাভসবন্দী।

রিয়াদের হাতের ক্যাচ হয়েছে মিস

তৃতীয় ঘটনাটা ২৫তম ওভারে। লং লেগে গুরবাজের বড় শট, দাঁড়িয়ে থাকা রিয়াদের হাতে বল। রিয়াদ বলটা ধরলেন, আবার ছেড়েও দিলেন। ক্যামেরার লেন্স তখন একবার রিয়াদের দিকে তো একবার শরীফুলের দিকে। ছেলেটা আর কত করবে!

সর্বশেষ ঘটনা ২৭তম ওভারে; আবারও বল হাতে শরীফুল, আবারও ব্যাট হাতে গুরবাজ। শরীফুলের বাউন্স, গুরবাজের সজোরে মারার চেষ্টা। ব্যাটের উপরে লেগে বল থার্ড ম্যান অঞ্চল দিকে চার। ভাবছেন এখানে মুশফিক-রিয়াদের দোষটা কী? চার তো মুশফিকের গ্লাভস লেগেই হয়েছে। মুশফিক চেষ্টা করেছেন, ব্যর্থ চেষ্টা। ক্যাচ মিস করার পর বেশ কিছুক্ষণ পড়ে থাকলেন মাটিতে, হয়তো শরীরটাও দিচ্ছিল না সায়।

শরীফুলের ভাগ্যটাই খারাপ

প্রথম উইকেট যেটা, সেটাও হতে চলেছিল মিস। সাকিব আল হাসানের বলে পুরোপুরিভাবে পরাস্ত রিয়াজ হাসান। মুশফিকের গ্লাভসে বল; প্রথম চেষ্টায় স্ট্যাম্প লাগাতে পারেননি, দ্বিতীয় চেষ্টায় ফেলেছেন বেইল, তারপর এসেছে উইকেট।

সিনিয়রদের থেকে সবসময় প্রত্যাশা থাকে বেশী। সেই প্রত্যাশা পূরণের চাপ থাকতেই পারে। কিন্তু পনেরো বছর খেলে ফেলার পরও যদি চাপ কাজ করে তাহলে প্রশ্ন উঠে তাদের সামর্থ্য নিয়েও। অনেক তো হলো মুশফিক, আর কত? আর কত রিয়াদ!

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img