২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

বয়সভিত্তিক দলগুলোর একাদশে লেগস্পিনার বাধ্যতামূলক করা হবে: সুজন

- Advertisement -

আগের মেয়াদে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনে ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ বড় বড় সাফল্যের মাইলফলক। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যের নায়কও বলা হয় তাঁকে। এমনও জনশ্রুতি আছে ক্রিকেট পাড়ায় যে, ক্রিকেট বোর্ডে যদি একটিমাত্র কমিটিও থাকে যেখানে ঠিকঠাক কাজ হয়, সেটি খালেদ মাহমুদ সুজনের গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি।

এই মেয়াদেও পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সুজন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে, তখন সুজন গেম ডেভেলপমেন্টের দায়িত্বে থাকবেন কিনা সেটি অনিশ্চিত। তবে সেজন্য ক্রিকেটের উন্নতিতে কি করা দরকার, রোববার গণমাধ্যমের সামনে তা বলতে অবশ্য দ্বিধা করলেন না সুজন।

এইমুহুর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে গরম খবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দেশে ফিরে আসা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগস্পিনারদের অবহেলা করা হচ্ছে- এই মর্মে যখন সমর্থকরা সমালোচনায় মুখর, ঠিক তখনই সুজন বললেন, দায়িত্বে থাকলে বয়সভিত্তিক সকল টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলে বাধ্যতামূলক লেগস্পিনার খেলানো নিশ্চিত করতে কাজ করবেন তিনি, যদি তা মূল একাদশে না হয়ে ‘সুপার সাব’ হিসেবে হয়, তাও।

“প্ল্যান অনেক করা যায়, বাস্তবায়ন করাটাই আসল ব্যাপার। আমার পরিকল্পনা আছে, অনূর্ধ্ব-১৮ লেভেলে আমরা যে ওয়াইসিএল (ইউথ ক্রিকেট লিগ) খেলি, বা অনূর্ধ্ব-১৪ বা ১৬ লেভেলে যে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ হয়, সেগুলো একটা বাধ্যবাধকতা থাকবে প্রতি ম্যাচে ‘সুপার সাব’ হিসেবে লেগস্পিনার থাকবে, যারা একাদশে না থাকলেও বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিম্যাচে ২০ ওভার করে বল করবে। কোন দল যদি সেটা না করে, তাহলে সেই ম্যাচ জিতলেও কোন পয়েন্ট পাবে না তারা”- বলেছেন সুজন

আমিনুল বিপ্লবকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে দেশে।

কতোগুলো শিরোপা এলো বা না এলো সেই দিকে না তাকিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়দের উন্নতিতে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সুজন।

“বাচ্চাকাচ্চাকে বাবা-মা ভালো স্কুলে দেয় কিজন্য? যাতে তাদের বেসিকটা ভালো হয়, ক্রিকেটও তো একধরণের এডুকেশন, এটার বেসিকটা ভালো করার জন্য দরকার ভালো মাঠ, ভালো প্রক্রিয়া। সত্যি কথা বলতে আমরা কয়টা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলাম, তারচেয়ে আমার কাছে অনেক বড় হচ্ছে কয়জন খেলোয়াড় আমরা তুলে আনলাম।”

আগামী মেয়াদে নিজের পদে থাকবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা, কিন্তু যে-ই আসুক, তার জন্য রয়েছে সুজনের সাধুবাদ।

“যদি নতুন গঠিত কমিটিতে না থাকি তাহলে বলা যায় এই পদে আমি একমাস পর্যন্ত আছি। আমি একটা খুব ভালো গ্রুপের সাথে কাজ করি, যারা খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করে। আটবছর আগে যখন এসেছিলাম তখন এমন ছিলনা। আস্তে আস্তে অনেককিছু আমরা ঠিক করেছি, উন্নতি করেছি। আমি আশা করবো নতুন যিনি আসবেন তিনিও তাই-ই করবেন”

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img