২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

ভিরাট কেঁদেছেন, কাঁদালেন…

- Advertisement -

অধিনায়কত্ব নিয়ে কাউকে প্রশ্ন তোলার সুযোগটাই দিলেন না ভিরাট, কেউ কল্পনা করার আগেই নিজেকে নিলেন সরিয়ে। জীবন নামক রঙ্গমঞ্চে ভিরাটের এমন অভিনয় কাঁদিয়েছে, ভাবিয়েছে। যেই মানুষটার দুদিন আগেও ভিরাটের নাম শুনলে গা জ্বলতো, সেই মানুষটারও চোখমুখ জুড়ে অন্ধকার নেমে এসেছে এমন খবরে। বিশ্বাস না হলে একবার নিজেই ভেবে দেখুন না ভিরাটের সরে দাঁড়ানোর খবর শুনে কেমন ছিল আপনার প্রতিক্রিয়া!

সাউথ আফ্রিকায় সিরিজ হার; ম্যাচ শেষে আলোচনার তুঙ্গে ডিআরএস, স্ট্যাম্পের মাইকে ভিরাটের বার্তা আর পূজারা-রাহানের ভবিষ্যত। কেউ কি তখনও ভেবেছিল রাত পেরোতেই আসবে দুঃসংবাদ! ক্রিকেটবিশ্ব যখন আলোচনা-সমালোচনায় ব্যস্ত, ভিরাট তখন দাঁড়িয়ে জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্তটা নেয়ার সামনে! কেমন ছিল সেই মুহুর্তটা, একজন ক্রিকেটভক্ত হিসেবে ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে! ভিরাটও তো মানুষ, সেও কি কেঁদেছে ক্যামেরার আড়ালে? তার মনও কি ডুবেছে বিষাদের বন্যায়?

মাঠের ভেতরের অধিনায়ক ভিরাট তো এমনই প্রানবন্ত

মাঠের ভিরাট শক্ত মনের, ভীষণ অ্যাগ্রেসিভ, শেষ অব্দি লড়ে যাওয়া যোদ্ধা। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ভিরাট কেমন? ভারতীয় অধিনায়কের, ‘সাবেক’ ভারতীয় অধিনায়কের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্ত্রী আনুশকা শর্মার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের একটা লাইনেই নাহয় চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক, “মাঠের নেতৃত্বে তুমি অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছ এবং নিজের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে দলকে জেতানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও করে গেছ। তবুও ম্যাচ হেরে যাওয়ার সেই দিনগুলোতে তোমার পাশে বসেই তোমার অশ্রুভেজা চোখ দু’টো শুধুমাত্র আমিই দেখেছি। তখন তুমি এই ভেবে কষ্ট পেতে যে, দলের জন্য তোমার হয়তো আরও কিছু দেয়ার ছিল। হ্যাঁ, এটাই তুমি…”  

যেই ভিরাট একটা টেস্ট ম্যাচ হারলেও কাঁদেন, সেই ভিরাট যে এত কঠিন সিদ্ধান্তটা নেয়ার আগে কাঁদেননি সেটা ভাবাটাই বরং নিরর্থক। হয়তো এখনও বাইরের কেউ দেখেনি সেই দৃশ্য, কিন্তু একদিন নিশ্চিতভাবেই বেরিয়ে আসবে এই তথ্যও। হয়তো কারোর টুইটে, স্মৃতিচারণে, গল্পে কিংবা ভিরাটকে নিয়ে তৈরী সিনেমায়!

ভিরাট এভাবেই ব্যাট উঁচিয়ে ধরুক আরও অসংখ্যবার

শেষ করার আগে অধিনায়ক হিসেবে ভিরাটের শেষ সময়টা কেমন ছিল তা জানিয়ে যাই। ভারত ততোক্ষণে সাত উইকেটে হেরেছে, হাতছাড়া করেছে সিরিজটাও। ম্যাচ শেষে সবাই যখন ড্রেসিংরুমে, ভিরাট তখন মাঠের এককোণে প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় মশগুল। এই আলোচনাটা হতে পারত ড্রেসিংরুমেও, কিন্তু ভিরাট হয়তো সবার সামনে করতে চাননি। ঘন্টাখানেক পর ড্রেসিংরুম হয়ে টিম হোটেলে পুরো দল, কিছুক্ষণ পর এক কক্ষে সকলের উপস্থিতি এবং ভিরাটের অধিনায়ক হিসেবে শেষবারের মতো বক্তব্য। যেই বক্তব্যে সবার চোখে জমেছে অশ্রু, চোখমুখ জুড়ে নেমে এসেছে হতাশা। বলার ছিল না কিছুই, ‘থ্যাংকস ফর এভরিথিং’ ছাড়া…

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img