২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

ম্যানচেস্টার সিটির লিগ জেতার দৌড়ে হালান্ডের প্রভাব কতটুকু!  

- Advertisement -

ব্যাক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএলে) চলমান মৌসুমে কে সবার উপরে আছেন সেটা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়, তিনি আর্লিং হালান্ড। হালান্ডের পারফর্ম্যান্স ম্যানচেস্টার সিটির জন্য রীতিমতো আশীর্বাদ। ইপিএলের চলমান মৌসুমে নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার গোল করেছেন ২৫টি, গোল্ডেন বুটের দৌড়ে টটেনহ্যাম অধিনায়ক হ্যারি কেইনের চেয়ে এগিয়ে আছেন ৯ গোলে।

২৫টি গোল করে যেখানে ইপিএলের পুরো মৌসু্মের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া সম্ভব, সেখানেই ২০ ম্যাচেই হালান্ড এতগুলো গোল করে ফেলেছেন। প্রতিপক্ষের জালে এই নাম্বার নাইন যত গোল করবেন, আদতে সুবিধা পাবে তাঁর দল ম্যানচেস্টার সিটি। এখন প্রশ্ন, ইপিএলে একের পর এক গোল করা সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকার পারফর্ম্যান্স সিটিজেন শিবিরে কতটুকু ইম্প্যাক্ট রাখছে? মাঠে তাঁর উপস্থিতি পেপ গার্দিওলার দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন?

প্রথম ২০ ম্যাচশেষে ২৫ গোল করা হালান্ডের হ্যাট্রিক চারটি। ক্রিস্টাল প্যালেস, নটিংহাম ফরেস্ট, উলভস ইউনাইটেড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে করা এই চার হ্যাট্রিক থেকে গোল করেছেন ১২টি। জানলে অবাক হবেন, হালান্ডসহ ইপিএলের চলমান মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২টির বেশি গোল করেছেন মাত্র তিনজন!

৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সিটিজেনদের অবস্থান এখন দুইয়ে। নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার খেলেছেন কিন্তু গোল পাননি, এমন ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছে মাত্র দুইবার। হালান্ডের গোল বাদ দিলেও সিটি জিততো সাত ম্যাচে। কিন্তু উল্টোদিকে, ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার যদি গোল না পেতেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হারতো ৬ ম্যাচ, বাকি সাত ম্যাচ করতো ড্র। সেক্ষেত্রে হালান্ডের উপস্থিতি বাদ দিলে তাদের পয়েন্ট থাকতো ২৮। এতেই বোঝা যাচ্ছে, দলের জয়ে কিংবা ভালো করায় হালান্ডের অবদান কতখানি।

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img